



ভারতীয় ফুটবলের সাম্প্রতিক অস্থিরতার মাঝেই আবারও এলো দুঃখের সংবাদ। দেশটির ফুটবলের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে ফিফা।




‘তৃতীয় পক্ষের’ হস্তক্ষেপ হয়েছে—এমন অভিযোগে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে ফুটবলের সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। আজ (সোমবার) রাতেই এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।




ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবেই কার্যকর হচ্ছে। ফেডারেশনে সরকারি হস্তক্ষেপের শাস্তি পেল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১০৪ নম্বর দলটি।




আগামী ১১ অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো নারী অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে আসর। নিষেধাজ্ঞার ফলে মেয়েদের এই বৈশ্বিক আসর এশিয়ার দেশটি থেকে সরিয়ে নিল ফিফা।




ফিফা অবশ্য অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে আগেভাগেই সতর্ক করেছিলো। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলো, ফুটবল ফেডারেশনে কোন রকম সরকারি হস্তক্ষেপ আসলেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে তাদের। সংস্থাটি তাই বাস্তবায়ন করল।




জানা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হলেও সাংবিধানিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া প্রফুল প্যাটেল সভাপতির চেয়ার আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করেন।




পরে এ বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছে। প্যাটেলকে সরিয়ে তিন সদস্য পরিচালক কমিটি নিয়োগ দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। জুনের মধ্যেই ফেডারেশন নির্বাচন আয়োজন করাই ছিল যাদের মূল কাজ। কিন্তু, নির্বাচন দিতে তারা গড়িমসি করে।




মূলত, স্বাধীন ফুটবল ফেডারেশনে কোনো সরকার বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপ ফিফার আইনের পরিপন্থী। এআইএফএফের নির্বাচন নিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নাক গলানো ভালো চোখে দেখেনি ফিফা। যার কারণেই দেশটিকে সবধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করল সংস্থাটি।




ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের’হস্তক্ষেপ হয়েছে— এমন অভিযোগে ফিফার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে কুয়েত, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো নিষিদ্ধ হয়েছিলো। গত বছর নির্বাচন নিয়ে জটিলতায় একই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিলো পাকিস্তানকেও।