



দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পরপরই ১০ জনের দলে পরিণত হলো ব্রাজিল। একজন বেশি থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের চেপে ধরল চিলি। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখত পারল ব্রাজিল।




রক্ষণের দৃঢ়তায় চিলিকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে পৌঁছাল তিতের দল। কিন্তু ম্যাচ হারার পর আর্তুরো ভিদালের সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ল রেফারির ওপর। চিলির এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারের দাবি, আর্জেন্টাইন রেফারি পাত্রিসিও লোসতাও নিজেই ম্যাচের নায়ক হতে চেয়েছেন, খেলতেই দেননি চিলিকে।




রিও দে জেনেইরোতে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার-ফাইনালের লড়াইয়ে ১-০ গোলের জয়ে উতরে যায় ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পাকুয়েতার গোলে এগিয়ে গেলেও ৪৯ মিনিটে লাল কার্ডে তারা হারায় গাব্রিয়েল জেসুসকে।




কিন্তু ব্রাজিলকে বাগে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি চিলি। একজন বেশি নিয়ে খেলেও বাকি সময়ে গোল করতে পারেনি তারা। একবার জালে বল ঢোকাতে পারলেও তা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।




হতাশ ভিদাল ম্যাচের পর শূলে চড়ালেন রেফারিকে। “ আমরা হতাশ, খুবই হতাশ। আরও অনেক বেশি প্রাপ্য ছিল আমাদের। এরকম একটি ম্যাচে এমন রেফারি প্রয়োজন যে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও দায়িত্বশীল, যে পক্ষপাতহীন ও যে কিনা ম্যাচের ভাঁড় হতে চায় না।”




“ স্রেফ গোলটাই করতে পারিনি আমরা। মাঠে যদি এমন রেফারি থাকে যে আমাদের খেলতেই দিচ্ছে না, সবসময় খেলা থামিয়ে দিচ্ছে এবং যে ভাবে সে-ই মাঠের তারকা, তাহলে কাজটা কঠিন।”




রেফারি চিলির খেলা বারবার থামিয়ে দিয়েছে বলে ভিদাল অভিযোগ করলেও অবশ্য ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। শুধু জেসুসকে লাল কার্ড দেখানোই নয়, ব্রাজিলের ১৩টি ফাউল ধরেছেন রেফারি, চিলির ১২টি।




ব্রাজিলকে অবশ্য খানিকটা কৃতিত্বও দিলেন ভিদাল। “ আমরা টুর্নামেন্টের ফেবারিটদের কাছে হেরেছি, যারা খেলছে ঘরের মাঠে। অন্তত মাথা উঁচু করেই বিদায় নিতে পারছি আমরা।”